শীতকালের খাবার বলতে প্রথমেই মাথায় আসে পিঠাপুলি ও শীতকালীন সবজির কথা। সকাল বেলা কম্বল থেকে বের হয়ে পিঠা দিয়ে বা পাঁচ মিশালী সবজি দিয়ে রুটি বা চাপটি পিঠার নাস্তার কোনো তুলনাই হয় না। গরম গরম পিঠা শীতকালে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে।
শীতকালে শাক-সবজির ভান্ডার থাকে অপ্রতুল। তেমনি ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ হরেক রকম মজাদার ফল এসময় ভালোই পাওয়া যায়। শরীরে ঠান্ডার জন্য বিশেষ বিশেষ পুষ্টিগুণের ঘাটতি দেখা যায় তবে শীতকালীন মৌসুমী খাবার-দাবার এই ঘাটতি পূরণের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে শীতকালে পানি পানের পরিমাণ বেশ কমে যায়, শীতকালীন ফল ও শাক-সবজি এই পানির ঘাটতি পূরনেও প্রচুর সহায়তা করে।
একসময় বাড়িতে খুব ঘটা করে পিঠা তৈরির প্রচলন থাকলেও আজ তা বেশ কমে এসেছে। তবে আজও বাড়ির মা-চাচীরা পিঠার কোনো না কোনো পদ তৈরি করে থাকেন শীতের প্রায় প্রতিটা দিন। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, নারকেল পুলি, ছিটা রুটি, দুধ পুলি, খেঁজুরের গুড়ের পায়েস, ক্ষীরের পাটিসাপটা, দুধ চিতই আরও অনেক রকম পিঠা তৈরি হয় শীতকালে। ঠান্ডা ঠান্ডা হাতে গরম গরম ভাপা পিঠা বা চিতই পিঠার পরশ শীতকালে খুবই আরামের অনুভূতি। তাই শুধু ঘরে নয় রাস্তার পাশের পিঠার ভ্যান গুলোতেও দেখা যায় প্রচুর ভীড়।
শীতকালের আরেকটি খাবার যা শরীরকে শক্তি দেয় ও চাঙ্গা রাখে তা হলো চা। গ্রীণ টি হোক বা মসলা দুধ চা কিংবা আদা-মধু দিয়ে তৈরি রঙ চা প্রত্যেকটিই শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। এগুলো যেমন শীতকালীন বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে দূরে রাখে আর শরীরকে গরম রাখতে মসলা আর মধু দিয়ে চাইয়ের জুড়ি মেলা ভার।