বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। গ্রীষ্মকালীন ফলবাজারে অন্যতম পরিচিত মুখ এই কাঁঠাল। গরমের প্রচন্ড তাপে রসালো এই ফলটি একই সাথে আমাদের ক্ষুধা মেটায় ও পানির চাহিদা পূরণ করে। খাওয়ার জটিলতা ও গন্ধের কারণে অনেকেরই অপছন্দনীয় ফল এই ফলটি। খাওয়ার প্রক্রিয়া একটু জটিল হলেও অনেক উপকারি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই ফলটি। চলুন জেনে নেই এই বিশাল ফলটির ব্যাপারে -
১) শক্তির আধার: কাঁঠাল হলো শক্তির আধার। কাঠলে রয়েছে শর্করা, ক্যালোরি, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ রয়েছে, যা আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি বাড়ায়।
২) দৃষ্টিশক্তি অক্ষুন্ন রাখে: ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান যা আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখে। আর কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, তাই এটি আমাদের চোখের জন্য উপকারী। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা আমাদের চোখের রেটিনা বা অক্ষিপটের ক্ষতি প্রতিহত করে থাকে।
৩) দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধে: কাঁঠালে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- যা কিনা আমাদের শরীরে আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম। কাঁঠালে আছে প্রয়োজনীয় পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্র্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৪) রক্তস্বল্পতা রোধে কাঁঠাল: কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, নিয়াচিন, ফলেট, এবং ভিটামিন বি-৬। এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের মিনারেল সমৃদ্ধ উপাদান যেমনঃ কপার, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম যা রক্ত তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এটি রক্তস্বল্পতা রোধে দারুণ কাজ করে থাকে।
৫) মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে ও চিকিৎসায়: সাধারণত কাঁঠালে যে ডায়েটারি ফ্যাট উপাদানটি রয়েছে, তা শরীরের মলাশয় থেকে বিষাক্ত উপাদানসমূহ পরিষ্কার করে। এতে করে মলাশয়ের ওপর বিষাক্ত উপাদানসমূহের ক্ষতিকর প্রভাব শরীরে পড়তে দেয় না। এমনকি মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিহত করে।
এছাড়াও কাঁঠালের রয়েছে আরো নানাবিধ উপকারী উপাদান, যা আমাদের দেহের নানা সমস্যা সমাধানে উপকারী। তাই গ্রীস্মকালীন এই ফলটি আমাদের প্রচুর পরিমাণে খাওয়া জরুরি।