Loading...

গর্ডন রামসেঃ আতঙ্ক নাকি অনুপ্রেরণা?

১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০

শেফ গর্ডন রামসে নানা বিখ্যাত রেস্তোরাঁ ও রান্নার বইয়ে তার অবদানের জন্য বিশ্বনন্দিত একটি নাম। এছাড়া একুশ শতকের গোড়ার দিকে টেলিভিশনের নানা রান্নার প্রোগ্রামে তার উগ্র মেজাজের জন্য সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন গর্ডন রামসে। 


১৯৮৭ সালে নর্থ অক্সন টেকনিক্যাল কলেজ থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টে ভোকেশনাল ডিপ্লোমা অর্জনের পর, তিনি লন্ডনে চলে আসেন এবং “হার্ভে’স” রেস্তোরাঁর শেফ মার্কো পিয়ের হোয়াইট এবং “লা গ্যাভরোচে” এর শেফ অ্যালবার্ট রক্সের অধীনে তার রন্ধনসম্পর্কীয় দক্ষতা অর্জন করতে শুরু করেন। ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে রামসে ফ্রান্স ভ্রমণ করেন, এবং সেখানে তিনি মাস্টার শেফ জোয়েল রোবুচন এবং গাই স্যাভয়ের রান্নাঘরে ক্লাসিক ফরাসি খাবার তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৯৩ সালে রামসে লন্ডনে ফিরে আসেন এবং “অবার্জিন” রেস্তোরাঁর হেড শেফ হয়ে ১৯৯৬ সালের ভেতর মিশেলিন গাইড থেকে সর্বোচ্চ তিনটি স্টারের মধ্যে দুটি জিতে নেন। মিশেলিন গাইড হচ্ছে একটি বিখ্যাত হোটেল ও রেস্তোরাঁ সম্পর্কিত একটি র‍্যাঙ্কিং প্রকাশনা। 


১৯৯৮ সালে রামসে তার নিজস্ব রেস্তোরাঁ খোলেন, যা তিন বছরের মধ্যে তৃতীয় মিশেলিন স্টার জিতে নিয়ে বিশ্বের সেরা রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। ১৯৯৯ সালে তিনি Pétrus নামক আরেকটি রেস্তোরাঁ খোলেন, যা মাত্র সাত মাসের মধ্যে একটি মিশেলিন স্টার অর্জন করে নেয়।


মাল্টিমিলিয়ন ডলারের রেস্তোরাঁ ব্যবসার পাশাপাশি, গর্ডন রামসে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসাবে তারকাখ্যাতি অর্জন করেন ২০০৪ সালে পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সিরিজ Ramsay’s Kitchen Nightmares এর মাধ্যমে, যেখানে তিনি নানা ব্যর্থ রেস্তোরাঁকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তার আরেকটি টিভি শো, Hell’s Kitchen ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে, যেখানে তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও সম্ভাবনাময় শেফদের মানসম্পন্ন শেফে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত রান্নার শো Masterchef এ তার উপস্থিতি গর্ডন রামসেকে এনে দেয় আরও বড়ো তারকাখ্যাতি। 


এসবের পাশাপাশি গর্ডন রামসে লিখেছেন বেশ কিছু প্রখ্যাত রান্নার বইও, যাঁদের মধ্যে Gordon Ramsay’s Passion for Flavour (১৯৯৬), Humble Pie (২০০৬) এবং Gordon Ramsay’s Playing with Fire (২০০৭) ইত্যাদি অন্যতম।