Loading...

ফুড ডেকোরেশন টিপস বাই কাকলী কলি

১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০

সব দেশেই রান্না একটি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। আর রান্নার শিল্পের সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় পরিবেশন। খাবার সুস্বাদু হওয়া হওয়া যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি জরুরি তার  সুন্দর পরিবেশন। খাবার পরিবেশনের সময় প্রেজেন্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই খাবারকে কীভাবে সুন্দর করে প্রেজেন্ট করা যায় তা নিয়েই কিছু টিপস দিয়েছেন জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী কাকলী কলি। চলুন জেনে নেওয়া যাক টিপসগুলো -


১) সঠিক সার্ভিং ডিশ নির্বাচন করা 


খাবারের ধরন বুঝে সার্ভিং ডিশ নির্বাচন করতে হবে। খাবারের ধরন অনুযায়ী পাল্টে যাবে খাবার প্রেজেন্টেশনের নিয়মকানুন। খাবার যদি খুব কালারফুল হয়, তাহলে  সেই খাবারটা সাদা বা হালকা ডিসে প্রজেন্ট করলে, খাবারটা আকর্ষণীয় দেখাবে । অপরদিকে খাবার যদি হালকা কালার হয়, তাহলে কালারফুল ডিশে প্রেজেন্ট করলে দেখতে ভালো লাগবে। খাবার ডেকোরেশনের সময় প্লেটের বাইরে যেন না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবারের পরিমাণ বুঝে সার্ভিং ডিশ নির্বাচন করতে হবে। ট্রেডিশনাল দেশিয় খাবার হলে মাটির পাত্রে সাথে কলাপাতা যোগ করতে পারেন, টেবিলটা তাহলে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আর বিদেশি খাবার হলে, সেই দেশের খাবার বা সংস্কৃতি অনুযায়ী সার্ভিং ডিশ হলে খাবারটা পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।


২) স্ন্যাকস পরিবেশনের ক্ষেত্রে 


যেকোন ধরনের নাস্তা বা স্ন্যাক্স আইটেমে সস দিয়ে সুন্দর ডেকেরেশন করে সাথে একটু সালাদ রাখলে সেই খাবারের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা বেড়ে যায়। সেই সস আর সালাদ হতে পারে ঘরে বানানো যেকোনো ধরণের সালাদ বা সস। তা খাবারকে করে তোলে আরো আকর্ষণীয় ও সুন্দর।


৩) টেবিল সাজানোর ক্ষেত্রে


খাবার ডেকোরেশনের সাথে টেবিল সাজানোর গুরুত্ব রয়েছে। টেবিল সাজানো শুরু করুন একটা পরিষ্কার সাদা টেবিল ক্লথ দিয়ে । প্লেটে ছুরি, কাঁটা চামচ রাখুন খাবার বুঝে। কাটলারি সেট, সল্ট অ্যান্ড পেপার সেট, সুগার বোল, ন্যাপকিন হোল্ডার ইত্যাদি দিয়ে ডাইনিং টেবিলের শোভা বাড়ানো যায়। ডিনার টেবিলে মোমবাতির সঙ্গে ছোট ফুলদানি রাখতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে ছোট শোপিসও রাখতে পারেন। খাবার টেবিল পরিষ্কার ঝকঝকে রাখতে হবে । তাহলে খেতে আরাম পাওয়া যায় এবং খাবার টেবিলের আড্ডাটাও জমে পুরোপুরি।


৪) সবজি দিয়ে বিভিন্ন ডেকোরেশন 


একটি ভেজিটেবল পিলার দিয়ে গাজর, জুকিনি বা বিটের মতো সবজি দিয়ে রিবন তৈরী করা যায়। এই রিবোনগুলো পেঁচিয়ে বা বাঁকিয়ে খাবারে বা সালাদে আলাদা লেয়ার দেয়া যায়। এছাড়া সবজি কেটে বিভিন্ন শেপ যেমন তারা, ফুল বা মানুষ বা প্রাণীর মুখের আকৃতি দেয়া যায়। এতে খাবার দেখতে যেমন বেশ সুন্দর হয়, তেমনি এটি খাবারে আলাদা স্বাদ বা লেয়ার যুক্ত করে।


৫) যথাযথ উপকরণ দিয়ে সাজানো 


খাবার সাজাতে হবে ব্যালেন্স করে। এতে যেমন অনেক কম উপকরণ দিয়ে ফাঁকা ফাঁকা রাখা যাবে না, ঠিক তেমনি অনেক কিছু দিয়ে ভরে ফেলা যাবে না। দুটির মধ্যে ভারসাম্য রেখে সাজাতে হবে। অনেক বেশি উপকরণ দিলে তা খাবারের স্বাদকে একেবারেই পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। তাই ভারসাম্য রেখে সাজানো উচিত যাতে তা খাবারে আলাদা স্বাদ যুক্ত করেও এতে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারে।